বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ও তার পরিবার পরিজনের রোষানাল থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই ইউনিয়নের শিবাতলী পাড়া আবু সৈয়দ।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আলীকদম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবী জানান ভূক্ত আবু সৈয়দ ও তার পরিবার-পরিজন। আবু সৈয়দের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে ওমর ফারুক।
তার দুই ছেলে তারেক, ওমর ফারুক ও আত্মীয়-পরিজন নিয়ে করা এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু সৈয়দ বলেন, ২০০৫ সালে শিবাতলী গ্রামের হ্লাথোয়াই মার্মার ওয়ারিশ থেকে ২৮৭নং তৈন মৌজার হোল্ডিং নং- ৬০৪ এর আন্দর ৫.০০ একর জমি ক্রয় করেন আবু সৈয়দ।
হ্লাথোয়াই মার্মা মারা যান ১৯৯০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। যা চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ এর মৃত্যু সনদ নিবন্ধন নং- ৮৫০, বই নং- ০০১, তারিখ: ৩১/০৩/২০১৬ মূলে প্রমাণিত। এ মৃত্যু সনদে স্বাক্ষর করেন ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন।
আবু সৈয়দ অভিযোগ করেন, ১৯৯০ সালে মারা যাওয়া হ্লাথোয়াই মার্মাকে জীবিত দেখিয়ে জয়নাল চেয়ারম্যানের বাবা নুরুল কবির একই হোল্ডিং এর জমি ক্রয় করার দলিল সৃজন করেন ২২/০৯/১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ তারিখ। এ দলিলের অনুবলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে জমি বিক্রয় না দাবী নামা দলিল নং- ১০৫ তারিখ: ১৯/০৮/২০০৭ সৃজন করা হয়। জমি ক্রয়কালীন পুরো বিষয়টি গোপন রাখা হয়, যাতে আবু সৈয়দ বিষয়টি জানতে না পারেন।
লিখিত বক্তব্যে আবু সৈয়দ বলেন, ২০০৫ সালে এ জমি ক্রয়ের পর থেকে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে ঘর বাড়ি তৈরী করে শান্তিতে বসবাস করছিলেন। সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নালের লোকজন জমি দখলে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করেন। এতে আবু সৈয়দের পরিবারের পক্ষে তার ছেলে ওমর ফারুক বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন।
আদালতে করা জি.আর মামলা নং- ২৩/২৩-এ জামিন চাইতে গেলে সম্প্রতি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, তার পিতা নুরুল কবির, ছোট ভাই কামাল উদ্দিন, জামাল উদ্দিন ও ভগ্নিপতি মহিউদ্দিনকে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান আদালত।
আবু সৈয়দের অভিযোগ, জামিনে বেরিয়ে আসামীরা বাদীকে এবং তার পরিজনকে মারধর করার হুমকী দিচ্ছে। বাড়ি ভিটা থেকে উচ্ছেদে পুনরায় হামলা করবে বলে আশংকা করছেন আবু সৈয়দ।
আবু সৈয়দের ছেলে তারেক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, তাকে জয়নাল চেয়ারম্যানের লোকজন ষড়যন্ত্র করে শিবাতলী পাড়ায় তার নামীয় তারেক স্টোরে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে পুলিশকে খবর দিয়ে আটক করায়। এটি ষড়যন্ত্র ছিল। মামলা থেকে সে বর্তমানে জামিনে আছেন। তিনি আশংকা করছেন, এ ধরণের ষড়যন্ত্র আরো করছে চেয়ারম্যানের লোকজন। তারা এখন নিরাপত্তাহীন।
এ সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক, জোন কমান্ডার, পুলিশ সুপার ও ইউএনও বরাবর।