আলীকদম(বান্দরবান)প্রতিনিধি:
আলীকদম উপজেলায় “জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস” ২০২৩ ইং পালিত হয়েছে। এ-উপলক্ষ্যে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাবের মোঃ সোয়াইব এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালম
অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দুংড়িমং মার্মা, আলীকদম উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কফিল উদ্দীন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দ এবং উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একই সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম ও ইউএনও জাবের মোঃ সোয়াইব “জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস” উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপী “উন্নয়ন মেলা”র উদ্বোধন করেন।
এদিকে জনসচেতনতা তৈরি ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস হিসেবে আমাদের প্রথম প্রস্তাব ছিল ১৬ জানুয়ারি।
কিন্তু আগামী বছর জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই আমরা একটি দিবস ঘোষণার পর নির্বাচনের কারণে যদি প্রথমবার পালন করতে না পারি, তাহলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
যে কারণে দিবসটি সেপ্টেম্বর মাসে ১৭ তারিখ উদযাপন করা হয়।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখা এবং জনমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে এ দিবসটি পালন করা হবে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, অধিকতর জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক এবং আর্থিকভাবে স্বনির্ভরতা অর্জনের পথ সুগম হবে। দিবস পালন করলে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর যেসব অংশীজন বা সুবিধাভোগী রয়েছেন, তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সহজতর হবে এবং কার্যক্রমে জনসম্পৃক্ততা বাড়বে ফলে সেবা সহজীকরণে সহায়ক হবে। সার্বিকভাবে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ পালনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর তৃণমূল পর্যায়ের জনসাধারণের সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে। এতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা, কর্মতৎপরতা, গুরুত্ব ও সর্বোপরি সক্ষমতা প্রকাশ পাবে।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ব্যাপ্তি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউ) গন্ডি পেরিয়ে ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপনে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি এবং জনগণের সম্পৃক্তার প্রয়োজন। বর্তমান সরকার সেবা সহজীকরণ এবং জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর জন্য বদ্ধপরিকর।